যখন আপনি একটি ওয়েবসাইটে যান:
- আপনার ডিভাইস রিকোয়েস্ট পাঠায় রাউটারের কাছে।
- রাউটার তার পাবলিক IP ব্যবহার করে রিকোয়েস্ট পাঠায় ইন্টারনেটে।
- ওয়েবসাইটের সার্ভার রেসপন্স পাঠায় রাউটারের পাবলিক IP-তে।
- রাউটার বুঝতে পারে রেসপন্সটি কোন ডিভাইসের জন্য এবং সেটি সেই ডিভাইসে পাঠিয়ে দেয়।
এই প্রক্রিয়াটি সম্ভব হয় Network Address Translation (NAT) নামের একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে, যা প্রাইভেট IP যুক্ত একাধিক ডিভাইসকে একটি পাবলিক IP দিয়ে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে দেয়।

NAT (Network Address Translation) কি?
NAT বা নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ট্রান্সলেশন হলো একটি প্রযুক্তি যা একাধিক ডিভাইসকে একটি পাবলিক IP অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে।
সাধারণত, আপনার বাড়ির বা অফিসের অনেকগুলো ডিভাইস থাকে যাদের প্রাইভেট IP থাকে। পাবলিক IP থাকে রাউটারের কাছে।
NAT কিভাবে কাজ করে?
- ডিভাইসগুলো যখন ইন্টারনেটে রিকোয়েস্ট পাঠায়, তখন NAT রাউটার ওই রিকোয়েস্টের সোর্স IP প্রাইভেট থেকে পাবলিক IP-তে পরিবর্তন করে পাঠায়।
- যখন সার্ভার থেকে রেসপন্স আসে, NAT রাউটার আবার পাবলিক IP থেকে ডিভাইসের প্রাইভেট IP-তে ট্রান্সলেট করে রেসপন্স ডিভাইসের কাছে পৌঁছে দেয়।

এর ফলে একাধিক ডিভাইস ইন্টারনেট শেয়ার করতে পারে একটি পাবলিক IP ব্যবহার করে, এবং একইসাথে নিরাপত্তাও বজায় থাকে কারণ প্রাইভেট IP গুলো ইন্টারনেটে সরাসরি দেখা যায় না।
VPN (Virtual Private Network) কি?
VPN বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক হলো একটি নিরাপদ ও এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ পদ্ধতি যা আপনাকে ইন্টারনেটে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা দেয়।
VPN ব্যবহার করলে:
- আপনার ডিভাইসের ইন্টারনেট ট্রাফিক একটি নিরাপদ সার্ভারের মাধ্যমে যায়।
- আপনার আসল IP লুকিয়ে যায় এবং VPN সার্ভারের IP দিয়ে আপনি ইন্টারনেটে দেখা দিচ্ছেন।
- আপনার ডেটা এনক্রিপ্ট হওয়ায় কেউ সহজে আপনার অনলাইন কার্যকলাপ দেখতে বা ট্র্যাক করতে পারে না।
VPN এর মাধ্যমে আপনি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করলেও নিরাপদ থাকতে পারবেন, জিও-রেস্ট্রিকশন বাইপাস করতে পারবেন এবং আপনার অনলাইন গোপনীয়তা বাড়াতে পারবেন।
Leave a Reply